ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪

ড্রেন করার নামে চকরিয়া পৌর কর্তৃপক্ষ শত বছরের পুরনো গাছটি কেটে ফেলেছে

মিজবাউল হক, চকরিয়া :
ফুলতলার নামকরণের সেই গাছটি এখন আর নেই। সেখানে ফুলতলা নামক কোন স্মৃতি চিহৃ নেই। ড্রেন করার নামে চকরিয়া পৌর কর্তৃপক্ষ ছায়াঘেরা শত বছরের পুরনো ফুল গাছটি কেটে ফেলেছে। এই নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় লোকজন জানান, চকরিয়া পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের ফুলতলা এলাকায় ব্র্রিটিশ আমলে রোপণ করা সেই ফুলগাছটি ড্রেন করার নামে গত এক সপ্তাহ পূর্বে পৌরসভার লোকজন কেটে ফেলেছে। কিন্তু বিগত সময়ে পৌরসভার উন্নয়ন কর্মকান্ডের সময় রাস্তা সম্প্রসারণের কাজ করলেও গাছটি কাটেনি।
এলাকাবাসীরা ফুলগাছটি কাটতে নিষেধ করেন। কিন্তু পৌরসভার বর্তমান মেয়র আলমগীর চৌধুরী উন্নয়নের দোহাই দিয়ে গাছটি ফেলেছে। এতে এলাকাবাসী ও স্থানীয় ব্যবসায়িরা ক্ষোভে ফেটে পড়েছে।
পরিবেশবাদী সাংবাদিক এমআর মাহমুদ বলেন, বিশাল আকৃতির ফুলগাছ থাকায় ওই স্থানের নাম ফুলতলা রাখা হয়। এই নামটি বিভিন্ন স্থানে লিপিবদ্ধ রয়েছে। দেশের বিভিন্ন এলাকার মানুষ, এই এলাকাকে ফুলতলা হিসাবে পরিচিত লাভ করে। ফুলগাছটি শতবছর ধরে তার ঐতিহ্য ধারণ করে আসছে। এলাকাবাসী তাদের বিশ্রামে, সৌন্দর্য্য বর্ধনে, পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে ব্যবহার করে আসছে ফুলগাছের ছায়া। বিভিন্ন প্রতিকূলতা রক্ষা ও সব সময় মানুষ ফুল গাছের ছায়ায় বিশ্রাম করত। তিনি আরও বলেন, বিগত ১০বছর পূর্বে এই ফুলগাছ কাটার কারণে সাবেক যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী সহ একাধিক মানুষের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিলো। কালের স্বাক্ষী ফুলগাছটি কেটে স্মৃতি চিহৃ মুচে ফেলা হয়েছে। এই রকম গাছ সব সময় স্বাক্ষী হয় না ইতিহাসে। বিশাল আকৃতির ফুল গাছটি মাত্র ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি করে দিয়েছে।
চকরিয়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি শওকত হোসেন বলেন, শতবর্ষী ফুলগাছটি না কাটার জন্য অনেকবার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু উন্নয়নের স্বার্থে গাছটি কেটে ফেলতে হয়েছে। না কাটলে দুটি দোকান ভেঙ্গে ফেলা হতো। সেখানে ড্রেন করার জন্য ইতোমধ্যে পৌরসভা কাজ শুরু করেছেন। গাছটি ১৫ হাজার টাকা দিয়ে বিক্রি করা হয়েছে। ওইসব টাকা ফুলতলা জামে মসজিদের উন্নয়নের কাজে ব্যয়ের কথা তিনি জানান।

পাঠকের মতামত: